গীতার বাণী বাংলায় -ভাগবৎ গীতায় জীবন সম্পর্কে কিছু উপদেশ গীতা সাতশো শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ
গীতার বাণী বাংলায় -ভাগবৎ গীতায় জীবন সম্পর্কে কিছু উপদেশ গীতা সাতশো শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। এটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যের একটি অংশ ,হিন্দুরা গীতাকে ভগবানের মুখ বাণী মনে করে, কৃষ্ণর মুখ থেকে যে বাণী নিঃসৃত হয়েছে।গীতায় ঐশ্বরিক বাণী হিসেবে মানা হয়।
কথিত আছে, কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে অর্জুনকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। আর আজও সেই বাণী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে বর্তমান সময়ের মানুষকে। মনে করা হয়, বেদব্যাস রচনা করেছিলেন মহাভারত। সে জন্য মহাভারতের অংশ গীতাকেও মানা হয়। তাই গীতাকেও তাঁর রচিত বলে মনে করা হয়।
যদিও গীতার রচনা কাল সম্বন্ধে অনেক রকম মতামত রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা এই গ্রন্থের রচনাকাল আনুমানিক, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শতাব্দীর। যে কোন সময়ের মধ্যে হতে পারে, ঐতিহাসিকেরা অনুমান করেছেন।হিন্দু ধর্ম মতে প্রতি বছর ১৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালিত হয় ৷কথিত আছে,এই সময় ভগবান মানুষের সহায়ে থাকে ৷মানুষের মধ্যে চিন্তাভাবনা,আবেগ, নিশ্বাসও প্রশ্বাসের সাথে জড়িয়ে থাকে ৷অন্যের ভাগ্যকে নকল করে চলার চেয়ে – নিজের খারাপ ভাগ্য নিয়ে চলা ভালো। কাউকে যখন কোনও পুরস্কার দেবেন।তখন সেটা মন থেকে দেওয়ার দিবেন। এবং পুরস্কারটি সঠিক স্থানে সঠিক দেওয়া উচিত।কিন্তু কখনও পুরস্কার ফিরে পাওয়ার আশা করবেন না ৷ গীতার অমৃত বাণী যে মানুষ নিজের সংকল্পকে দৃঢ় রাখতে পারে।সে সহজেই যে কোনো যন্ত্রনাকে জয় করতে পারে।সে নিজেকে সুখ ও স্বর্গরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এবং নিজের আত্মার সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে সক্ষম হয়৷সব সময় মনে রাখবেন – ভালো কাজ কখনও বিফলে যাবেনা আপনার। যে কাজটিতে ব্যর্থ হবেন, সেটি বার বার চেষ্টা করুন।কিন্তু সে কাজটি নতুন ভাবে করা উচিত। তবেই একদিন না একদিন আপনি সফল হবেন। নিজের মন এবং আত্মাকে শুদ্ধ রাখার চেষ্টা করুণ। নিজেকে সবসময় লোভী জিনিস থেকে বিরত রাখুন। নিজের চিন্তা ভাবনা আরও -বেশি ভালো ও বড় করার চেষ্টা করুন। আপনার নিজের যা জ্ঞান আছে সেটির মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন। অন্যে মানুষের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। রণক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ধর্মের কথা না বলাই ভালো। কুরুক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণ আর অর্জুনের কথোপো কথন নিয়ে, উৎসাহ ছিল সব কালের মানুষের মধ্যে।
শত্রূ শিবিরে মধ্যে -ভাই, পিতা-আত্মীয়দের দেখে কর্তব্য-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলা বা দুর্বল হওয়া ঠিক না। অর্জুনকে উপদেশ দিচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ এবং জীবন চলার সঠিক পথ দেখাচ্ছেন।মানুষের বর্তমান সময়েও অনেক প্রশ্নের উত্তর যোগাচ্ছে এই গীতার বাণী। গীতার বাণী বাংলায় জীবনের জটিল পথ থেকে বেরতে সাহায্য করে। শ্রীকৃষ্ণের গীতার বাণীশরীর এবং আত্মার সম্পর্ক – অগ্নি, জল, বায়ু, পৃথ্বী এবং ব্যোম –উপাদানে তৈরি আমাদের রক্তমাংসের শরীর, এর ক্ষয় হয়। শরীর অর্ন্তভূত আত্মার কোনও ক্ষয় না। শরীরের মৃত্যু হয়. আত্মা মৃত্যু হয় না, শুধু দেহ বদল করে। গীতার কর্মযোগে বলা আছে – কর্ম করে যাও, ফলের আশা করো না। ফলের আশা না করে কাজ করে যাওয়া।ভালো এবং জনকল্যাণ কাজ করতে বলছে গীতায়।নিজের কর্মও জুড়তে হবে অপরের হিতের লক্ষ্য করে। সব সময় মনে রাখবেন – যা হয় ভালোর জন্য হয়। অতীত নিয়ে দুঃখ করার কিছু নেই।কারণ সে সময়তো চলে গেছে।আর ভবিষ্যৎকে নিয়েও চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।কারণ -সে তো আগামী।বর্তমান সময়কে কাজে লাগাও – বর্তমান কে ভালো কাজে লাগালে, ভবিষৎ এমনিতেই ভালো হবে। যা ঘটছে সেটা ভালোর জন্যই ঘটেছে।হয়তো সেটা কিছু সময়ের জন্য খারাপ লাগতে পারে। হতাশ হওয়া উচিত নেই,কারণ – তোমার জন্য ভালো সময় অপেক্ষা করছে।সব সময় সর্বশক্তিমানের ওপর বিশ্বাস রাখুন।
ধ্যান ও সাধনা মানুষের মনকে শান্তি দেয় –
পবিত্র গীতার বাণীভগবৎ গীতায় আছে -ধ্যান করলে মানুষের উপকার হয়।নিরলস সাধনায় মানুষের অন্তরে শান্তি যোগায়।ইচ্ছাশক্তি বাড়ায়,জীবনের লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতা আনে। আমরা খালি হাতে এসেছি আর খালি হাতেই যেতে হবে !নিরালম্ব মনুষ্য জন্ম। দিগম্বর অবস্থায় জন্ম নেয় শিশু।আক্ষরিক অর্থেই খালি হাতে।কিন্তু কোনও একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটা মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। গীতার বাণী সমূহ, (গীতার বাণী বাংলায়)আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের, সেই লক্ষ্য খুঁজে পেতে হবে। আমাদের মূল নীতি গুলি মনে রাখতে হবে।আমাদের অর্থের দাস হওয়া উচিৎ নয়।মনে রাখতে হবে -আমরা যা উপার্জন করি-না কেন…?সেটা চিরকাল আমাদের থাকবে না।এটা আমাদের একমাত্র আত্মার সন্তুষ্টি ও তৃপ্তি জন্য করে থাকি। মনে কোনো সময় খারাপ চিন্তা না করা – আমাদের এই পরিবেশের মধ্যে ভালো এবং খারাপ, দুরকমের ভাবনাই আছে।তবে নেতিবাচক ভাবনার আকর্ষণ সবসময় বেশী হয়। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী,মানুষ সেদিকে বেশি আকৃষ্ট হয়।নিজের খারাপ ভাবনার জন্য,অন্যের ক্ষতি করাও উচিত নয়। খারাপ মানসিকতা নিয়ে,কখনো ভালো মানুষ হওয়া যায় না।কখনো বেশি আশা করবেন না – কখনো কোনও রকম আশা বা কামনাকে, প্রশ্রয় দিলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।তাই কঠোর আত্ম সংযত রাখতে হবে।যার জন্ম আছে তার মৃত্যু বা ধ্বংস অনিবার্য – এই পৃথিবীতে -জড়-জীব সবকিছুরই নির্দিষ্ট জীবনচক্র রয়েছে।কোনও কিছুই স্থায়ী নয় বা অমর নয়।এটা প্রকৃতির জীবন চক্রের মূল সত্য।এই পৃথিবীতে সবকিছুই পরিবর্তনশীল – একমাত্র সময় স্থির।বাকি সব পরিবর্তনশীল।সময়ের সঙ্গে মানুষ বদলায়।সমাজের পরিবর্তন বা বিকাশ হয়।এই পৃথিবীতে পরিবর্তন সত্য।এই পৃথিবীতে সব কর্ম ঈশ্বরে নিবেদিত ঈশ্বরকে মনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।ঈশ্বর ভাবনাই মনে শান্তি আনে ও তৃপ্তি দেয়।জীবনের প্রতি ইতিবাচক বা ভালো দৃষ্টি ভঙ্গীতে তাকাতে শেখায়।সত্য চিরকালেরসবসময় ভালো কাজ করে যাওয়া উচিৎ,কারণ সত্য কখনও বদলায় না।যাই করি না কেন -সেটা মানুষের বা সমাজের উপকারে লাগা ভালো। ভয় না পেয়ে ভালো কাজের জন্য যা করা উচিত তা করে যেতে হবে।সব কিছুরকিছুর স্বাক্ষী ঈশ্বর, ভালো কাজ বিফলে যায় না।
ধ্যান ও সাধনা মানুষের মনকে শান্তি দেয় –
পবিত্র গীতার বাণীভগবৎ গীতায় আছে -ধ্যান করলে মানুষের উপকার হয়।নিরলস সাধনায় মানুষের অন্তরে শান্তি যোগায়।ইচ্ছাশক্তি বাড়ায়,জীবনের লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতা আনে। আমরা খালি হাতে এসেছি আর খালি হাতেই যেতে হবে !নিরালম্ব মনুষ্য জন্ম। দিগম্বর অবস্থায় জন্ম নেয় শিশু।আক্ষরিক অর্থেই খালি হাতে।কিন্তু কোনও একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটা মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। গীতার বাণী সমূহ, (গীতার বাণী বাংলায়)আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের, সেই লক্ষ্য খুঁজে পেতে হবে। আমাদের মূল নীতি গুলি মনে রাখতে হবে।আমাদের অর্থের দাস হওয়া উচিৎ নয়।মনে রাখতে হবে -আমরা যা উপার্জন করি-না কেন…?সেটা চিরকাল আমাদের থাকবে না।এটা আমাদের একমাত্র আত্মার সন্তুষ্টি ও তৃপ্তি জন্য করে থাকি। মনে কোনো সময় খারাপ চিন্তা না করা – আমাদের এই পরিবেশের মধ্যে ভালো এবং খারাপ, দুরকমের ভাবনাই আছে।তবে নেতিবাচক ভাবনার আকর্ষণ সবসময় বেশী হয়। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী,মানুষ সেদিকে বেশি আকৃষ্ট হয়।নিজের খারাপ ভাবনার জন্য,অন্যের ক্ষতি করাও উচিত নয়। খারাপ মানসিকতা নিয়ে,কখনো ভালো মানুষ হওয়া যায় না।কখনো বেশি আশা করবেন না – কখনো কোনও রকম আশা বা কামনাকে, প্রশ্রয় দিলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।তাই কঠোর আত্ম সংযত রাখতে হবে।যার জন্ম আছে তার মৃত্যু বা ধ্বংস অনিবার্য – এই পৃথিবীতে -জড়-জীব সবকিছুরই নির্দিষ্ট জীবনচক্র রয়েছে।কোনও কিছুই স্থায়ী নয় বা অমর নয়।এটা প্রকৃতির জীবন চক্রের মূল সত্য।এই পৃথিবীতে সবকিছুই পরিবর্তনশীল – একমাত্র সময় স্থির।বাকি সব পরিবর্তনশীল।সময়ের সঙ্গে মানুষ বদলায়।সমাজের পরিবর্তন বা বিকাশ হয়।এই পৃথিবীতে পরিবর্তন সত্য।এই পৃথিবীতে সব কর্ম ঈশ্বরে নিবেদিত ঈশ্বরকে মনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।ঈশ্বর ভাবনাই মনে শান্তি আনে ও তৃপ্তি দেয়।জীবনের প্রতি ইতিবাচক বা ভালো দৃষ্টি ভঙ্গীতে তাকাতে শেখায়।সত্য চিরকালেরসবসময় ভালো কাজ করে যাওয়া উচিৎ,কারণ সত্য কখনও বদলায় না।যাই করি না কেন -সেটা মানুষের বা সমাজের উপকারে লাগা ভালো। ভয় না পেয়ে ভালো কাজের জন্য যা করা উচিত তা করে যেতে হবে।সব কিছুরকিছুর স্বাক্ষী ঈশ্বর, ভালো কাজ বিফলে যায় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন