আমার জিবনে একটি সত্য প্রেমের গল্প, love story
ঘরটা মােটামুটি সাইজের । সামনের দেওয়ালে একটা সাদা বাের্ড লাগানাে । তার পাশে একটা তাকে অনেকগুলাে মােটা মােটা রসায়নের বই । ডান দিক থেকে শুরু করে দরজা পর্যন্ত দেওয়াল ঘেঁষে ছেলেরা বসে । বাঁ দিকটা পুরাে খালি , মেয়েদের জন্য । আমি এক অদ্ভুত লজ্জায় কারাের দিকে তাকাতে পারছিলাম না । চুপচাপ গিয়ে যতটা সম্ভব বাঁ দিকের দেয়াল ঘেঁষে বসলাম । মেয়েটি আমার পাশেই ব্যাগ রাখলাে , কিন্তু গিয়ে বসল ছেলেদের কাছে । ওরা বেশিরভাগই ওর পরিচিত বা বন্ধু বােঝাই গেল । আমি চুপচাপ খাতা বের করে বসে রইলাম , মাথা নিচু করে । ওদের কথােপকথন , হাসাহাসি কানে আসছিল । বুঝলাম মেয়েটির নাম তৃষা । সে শহরের একটি অত্যন্ত নামি স্কুলের ছাত্রী । কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আরাে মেয়েরা আসতে থাকলাে । এদের মধ্যে অনেকেই আমার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় আমি স্বস্থি পেলাম । দু তিন জন আমার পুরনাে বন্ধুদেরও পেলাম । তবে তাদের মধ্যে খুব কমই আমার স্কুলের । যাই হােক স্যার এসে পড়লেন । সবার সাথে আলাপ পরিচয় করলেন । সকলের টেস্টের নাম্বার জানতে চাইলেন । সবার নম্বর শােনার পর আমি দেখলাম এখানে আমার চেয়ে বেশি পেয়েছে এরকম মাত্র তিন জন রয়েছে । তৃষা , মন্দিরা বলে আরেকটি মেয়ে আর রাহুল নামের একটি ছেলে যে কিনা রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র । আমি চিরকালই একটু প্রতিযােগী মনােভাবের ছিলাম । তাই মনে মনে ঠিক করে নিলাম , এদের থেকে আমাকে ভালাে করতেই হবে । এরপর স্যার পড়ানাে শুরু করলেন । প্রথমেই কি বই কিনতে হবে তাই নিয়ে আলােচনা শুরু হল । উনি দুটি বইয়ের নাম বললেন আমরা লিখে নিলাম । ওমা দেখি রাহুল বলে ছেলেটি ওই দুটির মধ্যে থেকে একটি বই এগিয়ে দিল । ও বাবা এর মধ্যে বই কেনাও হয়ে গেছে ! ভিড়ের মাঝে আমি ছেলেটির মুখও দেখতে পেলাম না সেভাবে কিন্তু এটা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে এ আমার কম্পিটিটর হতে পারে । তখন বুঝিইনি যে অলক্ষ্যে বিধাতা হাসছেন ।
পরবর্তী অংশ -- আমার জিবনে সত্যি প্রেমের গল্প
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন