আমার জিবনে প্রথম প্রেমের সত্যি গল্প amar jiboner protham premer galpo

 রাহুল কিছুক্ষনের মধ্যেই আঁকা সম্পূর্ণ করে খাতাটা এগিয়ে দিল । বেশ কয়েকজনের হাত ঘুরে কিছুক্ষন বাদ খাতাটা আমার কাছে এলাে । খাতা নয় ডাইরি । রাহুল নােটস ডাইরিতে লেখে ! বেশ অবাকই হলাম দেখে , আমরা সাধারণত সাদা খাতাতেই লিখতে অভ্যস্ত কিনা । সবচেয়ে ভালাে লাগলাে ওর হাতের লেখাটি । সত্যিই মুক্তোর মত সুন্দর বললেও কম বলা হবে । তার সাথে ছবিগুলিও এঁকেছে খুব সুন্দর করে , সামান্য কক্ষপথের ছবি কিন্তু ভীষণ নিট এন্ড ক্লিন । আমার খুব ভালাে লাগলাে , আমি আরাে বেশি করে মুগ্ধ হয়ে গেলাম । পাঠকদের জানাই বর্তমানে সেই কেমিস্ট্রির ডাইরিটি আমার দিদির মেয়েকে দিয়েছি । সেও যে এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । অ্যাপে পড়ুন । আর ওর সুন্দর হাতের লেখার কদর আমাদের 

ছাত্রছাত্রী মহলেও বেশ রয়েছে । এখনও কোন অনুষ্ঠানে গেলে উপহারের উপর নাম লেখার দায়িত্বটি সর্বদা ওকেই দিই । যাই হােক আমার মনের ভেতর হাজার প্রজাপতির উড়ান শুরু হল । যে জীবনকে এতদিন অন্যরকম ভাবে দেখে এসেছিলাম সেই জীবনে আজ নতুন নতুন রঙের সমাবেশ হতে থাকল । সবকিছুই যেন আরাে বেশি বর্ণময় , ছন্দময় হয়ে উঠলাে । গান শুনতে আমি চিরকালই ভালােবাসি তবে এই সময় থেকে রােমান্টিক গানের প্রতি আমার ভালােবাসা আরাে অনেকটা বেড়ে গেল । আগে কেবল গানের সুর অনুভব করতাম , এখন থেকে কথাগুলিও আত্মিকরণ করতে শুরু করলাম । প্রবল শীতের দিনে শরীর জুড়ােনাে মিঠে রােদের মত একটা মিষ্টি অনুভূতি সব সময় আমাকে ঘিরে থাকত । একটা ঘটনার কথা আমার খুব মনে পড়ে , আর মনে পড়লে এখনাে খুব হাসিও পায়   লজ্জা ও লাগে । আমি একদিন অংক টিউশন বাড়ি  ফিরছিলাম
বিকেল বেলা । একা একাই আসছিলাম । মােড়ের মাথায় একটা দারুন চাট ফুচকার দোকান বসত । আমার খুব ইচ্ছে হল টিকিয়া চাট খেতে । সেই মত দোকানদারকে হাফ প্লেট চাট দিতে বললাম । হটাৎ দেখি রাস্তার ওই পাড়ে রাহুল দাঁড়িয়ে । এক আলুকাবলিওলার কাছ থেকে আলুকাবলি কিনছে । ব্যাস মেরা তাে দিন বান গেয়া । সপ্তাহের বরাদ্দ দুই দিনের বাইরে গিয়ে এক্সট্রা দর্শন , কার না ভালাে লাগে । আমি ওকে প্রাণ ভরে দেখতে থাকলাম । ওর কাছে আস্তে আস্তে অনেক বন্ধুরা এসে জমা হল । সবাই মিলে আলুকাবলি খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছিল । যদিও আমি আর কাওকে দেখতেই পাচ্ছিলাম না । অপলক দৃষ্টিতে তন্ময় হয়ে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম যে ! দেখতে দেখতে আমার চাট খাওয়াও হয়ে গেল । কেলাে হয়ে গেল প্লেটটা রাখতে গিয়ে । ওর দিকে
তাকিয়ে থাকতে থাকতে প্লেটটা রাখতে গিয়ে , ওটা আমার হাত থেকে পড়ে চৌচির হয়ে গেল । এবার আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম , আর খুব লজ্জাও পেয়ে গেলাম । সত্যি বলতে কি , একটু ভয়ও পেলাম , এবার নিশ্চই দোকানদারদাদা গালমন্দ করবে । কিন্তু আমার কপাল বেশ ভালাে ছিল । বকা তাে খেলামই না , দাদা কিন্তু প্লেট এর জন্য কোন অতিরিক্ত টাকাও চাইলাে না । আমি অনেকবার সরি বলে কোনরকমে পালিয়ে বাঁচলাম । ততক্ষনে ওরাও চলে গেছে । পাঠকগণ জানলে খুশি হবেন , ওই ফুচকাওলা দাদাই আমাদের বৌভাতের রাতে ফুচকার স্টল দিয়েছিলেন । প্রথম প্রথম প্রেমে পড়ার মুস্কিলটা কি জানেন ? মনের কথা কাওকে বলার তীব্র বাসনা । হ্যাঁ এই যে আমার জীবনে একটা ব্র্যান্ডনিউ অনুভতি হচ্ছে।  প্রজাপতির মতো বেশ ডানা বেড়েছে  মনে হচ্ছে , 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার জিবনের সত্য প্রেমের গল্পকথা, The true love story of my life

আমার জিবনের প্রথম প্রেমের গল্প

মধ্যস্থতা বিবাদ নিষ্পত্তির অন্যতম উপায় Mediation is one of the ways to resolve disputes